০১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

বাউফলে শিক্ষক আন্দোলনের নেতৃত্বে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা

Reporter Name
  • Update Time : ০১:৪৯:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৩৩ Time View
print news

বাউফল (পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে এমপিওভুক্ত শিক্ষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ। তিনি বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদরাসার অফিস সাহায়ক।

তার এই নেতৃত্ব দেয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় উপজেলা জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

আজ বৃহস্পতিবার ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষকদের দাবি দাওয়া দ্রুত বাস্তবায়ন করতে অন্তর্বতী সরকারকে আহ্বান জানান নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের পৌর শাখার সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ।

জানাগেছ, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আ.স.ম ফিরোজ মোল্লা এবং তার অনুসারী বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নজিরুল হকের সুপারিশে ‌”অফিস সহায়ক” পদে চাকরিতে যোগদান করে নিয়াজ মোর্শেদ।

বিধিবহির্ভুত এই অস্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও সমালোচনা রয়েছে সর্ব মহলে।

অভিযোগ রয়েছে- মাদরাসায় চাকরিতে যোগদান করার পর অধ্যক্ষের সহযোগিতায় তৎকালীন আওয়ামী লীগের সকল এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেন ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ।

শুধু তাই নয়, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গোপনে-গোপনে অধ্যক্ষ এবং ছাত্রলীগ নেতা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।

বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষের সার্বিক সহযোগিতায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে শিক্ষক আন্দোলনের সম্মুখ সাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করার কার্যক্রম করা হয়। এভাবেই সরকার পতনের নীল নকশা চালানো হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, আমরা ক্লাস ছেড়ে আন্দোলনের মাঠে নেমেছি। সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা আজ ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয় আমাদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের চিহ্নিত একজন দোসর। আমরা আসলে অফিস পলিটিক্সের শিকার।

তারা আরো বলেন, এই পলিটিক্সের নেপথ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের স্বয়ং অধ্যক্ষ। তারা মূলতঃ চায় আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তাবায়ন করতে। কিন্তু আমাদের দাবি সম্পূর্ণ আলাদা। দেশের শিক্ষক সমাজের উন্নয়ন চাই আমরা। কিন্তু ঘোলাপানিতে মাছ শিকারে নেমেছে কথিত আওয়ামী লীগের এসব দুষ্কৃতকারীরা।

এ বিষয়ে বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নজিরুল হক বলেন, ওই ছাত্রলীগ নেতা যখন বক্তব্য দিয়েছে তখন আমি মাদরাসায় উপস্থিত ছিলাম না। শিক্ষকদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন শিক্ষক আবু সুফিয়ান। ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্য ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি যেহেতু আমার নজরে এসেছে সেহেতু আমি শিক্ষকদের নিয়ে শিঘ্রই বসবো। তারপরে একটা সিদ্ধান্ত নেব।

Please Share This Post in Your Social Media

বাউফলে শিক্ষক আন্দোলনের নেতৃত্বে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা

Update Time : ০১:৪৯:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
print news

বাউফল (পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে এমপিওভুক্ত শিক্ষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ। তিনি বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদরাসার অফিস সাহায়ক।

তার এই নেতৃত্ব দেয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় উপজেলা জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

আজ বৃহস্পতিবার ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষকদের দাবি দাওয়া দ্রুত বাস্তবায়ন করতে অন্তর্বতী সরকারকে আহ্বান জানান নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের পৌর শাখার সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ।

জানাগেছ, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আ.স.ম ফিরোজ মোল্লা এবং তার অনুসারী বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নজিরুল হকের সুপারিশে ‌”অফিস সহায়ক” পদে চাকরিতে যোগদান করে নিয়াজ মোর্শেদ।

বিধিবহির্ভুত এই অস্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও সমালোচনা রয়েছে সর্ব মহলে।

অভিযোগ রয়েছে- মাদরাসায় চাকরিতে যোগদান করার পর অধ্যক্ষের সহযোগিতায় তৎকালীন আওয়ামী লীগের সকল এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেন ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ।

শুধু তাই নয়, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গোপনে-গোপনে অধ্যক্ষ এবং ছাত্রলীগ নেতা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।

বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষের সার্বিক সহযোগিতায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে শিক্ষক আন্দোলনের সম্মুখ সাড়িতে নিয়ে আসা হয় এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করার কার্যক্রম করা হয়। এভাবেই সরকার পতনের নীল নকশা চালানো হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, আমরা ক্লাস ছেড়ে আন্দোলনের মাঠে নেমেছি। সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা আজ ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয় আমাদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের চিহ্নিত একজন দোসর। আমরা আসলে অফিস পলিটিক্সের শিকার।

তারা আরো বলেন, এই পলিটিক্সের নেপথ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের স্বয়ং অধ্যক্ষ। তারা মূলতঃ চায় আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তাবায়ন করতে। কিন্তু আমাদের দাবি সম্পূর্ণ আলাদা। দেশের শিক্ষক সমাজের উন্নয়ন চাই আমরা। কিন্তু ঘোলাপানিতে মাছ শিকারে নেমেছে কথিত আওয়ামী লীগের এসব দুষ্কৃতকারীরা।

এ বিষয়ে বাউফল ছালেহিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নজিরুল হক বলেন, ওই ছাত্রলীগ নেতা যখন বক্তব্য দিয়েছে তখন আমি মাদরাসায় উপস্থিত ছিলাম না। শিক্ষকদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন শিক্ষক আবু সুফিয়ান। ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্য ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি যেহেতু আমার নজরে এসেছে সেহেতু আমি শিক্ষকদের নিয়ে শিঘ্রই বসবো। তারপরে একটা সিদ্ধান্ত নেব।