মাটিহীন চারা উৎপন্ন করে সফল উদ্যোক্তা লুলু

- Update Time : ১০:৫৬:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
- / ৪৭ Time View

গাইবান্ধা মাঠের পর মাঠ জুড়ে সবুজ চারা। উপরে নেটের ছাউনি। চারপাশে জাল দিয়ে ঘেরা। ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়ে সারি সারি প্লাস্টিকের ট্রে। এর মাঝে শয্যায় নালা কেটে বসানো হয়েছে ট্রে, যেখানে বপন করা বীজ থেকে উঁকি দিচ্ছে নানা জাতের সবজির চারা। এমন চিত্র গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের কাঠাল লক্ষীপুর মাঠের। নেছার সরকার লুলু নামের এক কঠোর পরিশ্রমী উদ্যোক্তা বাণিজ্যিকভাবে এসব চারা উৎপাদন করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোরের আলো ফুটতেই কৃষকরা চারা কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন লুলুর নার্সারিতে। তিনি স্মার্ট প্রযুক্তির সাহায্যে মাটি ছাড়াই প্লাস্টিকের ট্রের মধ্যে জৈবসার ব্যবহার করে বীজ বপন করছেন। এই পদ্ধতিতে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ কম হওয়ায় উৎপাদিত হচ্ছে গুণগত মানসম্পন্ন চারা।
স্থানীয় কৃষক শামীম সরকারসহ অনেকেই জানান, দীর্ঘদিন ধরে লুলুর নার্সারি থেকে চারা কিনে তাঁরা ভালো ফসল পাচ্ছেন। দূর থেকেও কৃষকেরা ফোনে চারা অর্ডার করেন। ফলে এই উদ্যোক্তা কৃষকদের মাঝে আস্থা অর্জন করেছেন। নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি তিনি অনেকের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করেছেন।
উদ্যোক্তা লুলু বলেন, “কয়েক বছরের কঠোর পরিশ্রমে চারা উৎপাদনের এই প্রজেক্ট তৈরি করেছি। এখান থেকে বছরে লাখ টাকার বেশি মুনাফা আসছে। সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক সহযোগিতা পেলে নার্সারিটিকে আরও বড় করা যেত। তখন অনেক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হত।
ইদিলপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ময়নুল আলম বলেন, লুলু একজন ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোক্তা। তিনি যাতে নিরাপদে চারা উৎপাদন করতে পারেন, সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব ভট্টাচার্য্যও জানান, লুলুকে নজরে রাখা হয়েছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে সহযোগিতা করা হবে।